শুরু !!!!
সুপ্রিয় সে্নগুপ্ত
ডায়েরি লেখার ইচ্ছে
টা বহুদিনের, কিন্ত লেখাটা
আর হয়ে উঠছিলোনা । মাঝে মধ্যে যখন হ্যালির ধুম কেতুর মত নিযেকে
নিয়ে ভাবনার দখিন দুয়ারটা হাট করে খুলে দেবার সুযোগ পাই, - যেমন কখনও হয়ত একা ঘরে
শুয়ে আছি ঘুমোবার স্বপ্ন নিয়ে আর ঠিক তখনই শৈশব থেকে শুরু করে স্তরে স্তরে সাজানো
কত অনুভুতির দল. মেগা সিরিয়াল
হয়ে ভেসে উঠছে. চোখের মনিটারে. যা এত দিন ধরে সযন্তে আগলে রেখেছে আমার 4জিবি হার্ড ডিস্ক !!
হয়ে ভেসে উঠছে. চোখের মনিটারে. যা এত দিন ধরে সযন্তে আগলে রেখেছে আমার 4জিবি হার্ড ডিস্ক !!
কখনো হয়তো নিঃসঙ্গ ট্রেন যাত্রার দীর্ঘ মেয়াদী যাত্রা পথের প্রায় সিংহভাগ জুড়েই
ফেলে আসা দিনগুলোর, নিরব রোমন্থন!! নিজের আজান্তে কখনো মুখটা হাসিতে ভরে উঠেছে
আবার কখনো বা চোখটা চকচক করে উঠেছে।
অকাল বর্ষণের ফল্গুধারা বুকের হহু টাকে ট্রেনের গতির সাথে সিঙ্ক্রনাইজড করে
জন্ম দিচ্ছে কয়েক বিন্দু সিক্ততার.........। ‘চন্দ্রানীপার্লস’
ও যার ধরা ছোঁয়ার মধ্যে আসে না।
এতদিন বাদে লিখতে বসা। প্রতিটি স্মৃতিবহুল দিনের সঠিক অনুক্রম মনে না থাকাটাই
স্বাভাবিক, তাই ঠিক করলাম যখম যেটা মনে পড়বে বা পুরোনোটা নতুন রূপে আসবে চেষ্টা
কববো সেটাকেই লিখে ফেলার। হোক না তা
ছন্নছাড়া!! অনেকটা দেরী করে যারা শুরু করে
তাদের তো তালের ফাঁকেই ঢুকতে হয়, স্বভাবতই মুখরা-অন্তরা সঞ্চারী অন্তরার বাঁধা গৎ
পেরিয়ে তাদের কে নিজের কথায় নিজের সুরেই বেছে নিতে হয় নিজের তৈরি জীবনমুখী।
কথায় আছে ‘নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল’ সেই বিশ্বাসে ভর করেই শুরুটা করে
ফেললাম।আরও একটা জিনিষ
বুঝলাম আমার চালশের দর্শন বোধ দিয়ে- সেটা হলো দিন-ক্ষণ-পঞ্জী বেছে, আবেগ চলেনা,
তাই সৃষ্টির উৎস যদি আবেগ হয়, তার শুরু, চলমানতা ও শেষ কোনটাই ব্যক্তি নিয়ন্ত্রিত
হতে পারে না। আমার ক্ষেত্রেই বা অন্যথা হবে কিভাবে?
তাই আমি ও ঠিক করেছি যেদিন যেটা মনে হবে সেটাই প্রকাশিত হবে লেখনিতে , যেদিন
সময় আসবে হয়তো আমি- হয়তো......... অন্য কোন ‘আমি’ এ লেখা থেকে খোঁজার চেষ্টা করবো
ক্রম –অনুক্রম।। -এখন আর এগুলো, নিয়ে মাথা গামাচ্ছি না, কারণ এই চেষ্টাতে মাথা-ই
ঘামবে , কাজের কাজ কিছুই হবে না। -যাক শেষ পর্যন্ত শুরুটা তো করলাম। খুঁটী পূজ করে ফেলেছি. মা আসতে আর বেস
কয়েক মাস বাকি। এটাই আমার শারদীয়ার আগাম আগমনী ।।